শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

অর্ধেকে নেমেছে তাঁতের উৎপাদন, বেড়েছে খরচ

ছবি: সংগৃহীত
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:২৭

দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিংয়ের বিরূপ প্রভাব পড়েছে সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্পে। ঘন ঘন লোডশেডিং আর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে অর্ধেকে নেমেছে। বেতনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক শ্রমিক এ শিল্প ছাড়তে শুরু করেছেন।

তাঁতমালিকরা বলছেন, উৎপাদন কমেছে, তেলের দাম বেড়েছে। কিন্তু কাপড়ের দাম বাড়েনি। ফলে কম পরিমাণ কাপড় তৈরি হলেও তাতে যে খরচ হচ্ছে, বিক্রির টাকায় তা পোষানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁতশিল্পের বিপর্যয় এড়াতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস তাঁত বোর্ডের।

জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় কমবেশি তাঁত কারখানা আছে। সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত পাঁচ লাখ। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানি, কাতান, সিল্ক, বেনারসী, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছার কদর দেশজুড়ে। জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিংয়ে বলা হচ্ছে তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

বেলকুচি উপজেলার শেরনগর গ্রামের হাজি আশরাফুল ইসলাম বলেন, তার কারখানায় ৪৫টি পাওয়ারলুম চলমান। আগে প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার কাপড় উৎপাদন করতেন। কিন্তু বর্তমানে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কারখানায় এখন প্রতি সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার কাপড় উৎপাদন হচ্ছে।

উৎপাদন কমার কথা বলেন সোহাগপুর কাপড়হাটের ইজারাদার হাজি বদর উদ্দিন মণ্ডলও। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের আগে সোহাগপুর কাপড়হাটে প্রতি সোম ও মঙ্গলবার ৪০-৫০ কোটি টাকার কাপড় বিক্রি করতেন তাঁতিরা। কিন্তু করোনার পর থেকে ধীরে ধীরে বেচাকেনা কমে গেছে। বিশেষ করে লোডশেডিং ও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কাপড়হাটে ২৫-৩০ কোটি টাকার কাপড় বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কারখানা বন্ধ রাখার কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন কারখানার মালিক। তাদেরই একজন বেলকুচির শেরনগর গ্রামের গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাপড়ের দাম না বাড়ায় বাধ্য হয়ে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে কারখানায়।

কারখানা যেমন বন্ধ হচ্ছে, তেমনি পেশাও বদলাচ্ছেন শ্রমিকরা। বেলকুচি পৌর এলাকার চন্দগাতী বসুন্ধরার তাঁতশ্রমিক আয়নাল হক ১৪ বছর বয়স থেকে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে হ্যান্ডলুমে কাপড় তৈরি করতেন। তখন মজুরি কম হলেও দ্রব্যমূল্যের দাম কম থাকায় দিন চলে যেত।

আয়নাল বলেন, এখন বিদ্যুৎচালিত পাওয়ারলুম আসায় পরিশ্রম কম হলেও সুখ নেই। তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে কাজ নেই বললেই চলে। আগে বিদ্যুৎ গেলে মহাজন জেনারেটর চালিয়ে দিতেন। এখন জেনারেটর চালানো হয় না। অন্যদিকে দিনে পাঁচ-সাতবার বিদ্যুৎ চলে যায়। দিনে ৩০০ টাকারও কাজ করতে পারেন না।

পারিবারিকভাবে তাঁতের কাজ করেন বানিয়াগাতী গ্রামের জয়নাল আবেদিন। তার ঘরে চারটি পাওয়ারলুম আছে। পরিবারের সদস্যরা মিলে চালান। বাইরের কোনো শ্রমিক নেই।

জয়নাল বলেন, জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুতের ওপর ভরসা করতে হয়। করোনাকালে তাঁত চালাতে গিয়ে অনেক ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। সেই ঋণ কিছুদিন আগে পরিশোধ করতে পারলেও লোডশেডিংয়ে নতুন বিপর্যয় হয়েছে। বাধ্য হয়ে তাঁত বন্ধ করে অন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন। বড় ছেলেকে ঋণ করে একটা অটোভ্যান কিনে দিয়েছেন।

বেলকুচি তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ অফিসার তন্নী সরকার দৈনিক বাংলাকে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে তাঁতশিল্পে উৎপাদন অনেক কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হলেই আবার প্রাণ ফিরে পাবে এই শিল্প।

বেলকুচি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা যেভাবে বিদ্যুৎ পাই, সেভাবেই বণ্টন করে থাকি। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের বলেছেন, আগামী মাস থেকে হয়তো বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে।’


চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রাঘাতে তিনজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে ঝড়বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। শিবগঞ্জ উপজেলায় শিশুসহ দুজন ও ভোলাহাটে একজন মারা যান।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঝড়বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা মহল্লার সুভাস ভকতের স্ত্রী ববি ভকত (৩২) ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকা নিশিপাড়ার এরশাদ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুন (৮) টিউবয়েলের পানি আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যান।

ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার জানান, ভোলাহাট উপজেলার আন্দিপুরের (হঠাৎপাড়া, আশ্রয়ণ প্রকল্প) ইসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০) বাড়ির পাশের আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


সোনারগাঁওয়ে হাট মাতাবে মেসি-রোনালদো-জায়েদ খান

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৭ জুন, ২০২৪ ১৭:২২
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এবার কোরবানির হাট মাতাবে বিভিন্ন নামের কয়েকটি গরু। ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে তাদের নাম রাখা হয়েছে সিনবাদ, আলাল, জায়েদ খান, মেসি, রোনালদো, সম্রাট, সুলতান, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ আরও অনেক।

গরুগুলোকে এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে খামারগুলোতে। কোরবানিতে নানা জাতের গরুর চাহিদার সঙ্গে বাহারি সব নামও নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। আর এই নজর কাড়তে খামারিরা গরুর নাম দেন রাজকীয় এবং ঐতিহ্যবাহী বা প্রভাবশালী পরিবারের নামকরণে।

উপজেলার পশুর হাট ও ফার্মগুলো ঘুরে দেখা গেছে সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ও দামের দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে আছে সিনবাদ ও আলাল নামে আমেরিকান ফ্লাকবি জাতের ষাঁড় দুটি। এর পর আলোচনায় আছেন জায়েদ খান, মেসি, রোনালদো।

সোনারগাঁ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, সিনবাদের ওজন প্রায় এক হাজার কেজি ও আলালের ওজন এক হাজার বিশ কেজি। ষাঁড় দুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা করে। উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কাফাইকান্দা গ্রামের তার মালিকানাধীন সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে গত চার বছর ধরে আমেরিকান ফ্লাকবি সিনবাদ, আলাল, সম্রাট, সুলতান, সিনবাদ, মেসি, রোনালদো, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ ৭০টি ষাঁড় গরু তৈরি করেছি। মেসির ওজন ৬০০ কেজি ও রোনালদোর ওজন ৫০০ কেজি। মেসির দাম ৮ লাখ ও রোনালদোর দাম ৬ লাখ টাকা। সোনারগাঁও ডেইরি ফার্মের ভেতর লালনপালন করা গরু এসব নামে গরুগুলো ইতিমধ্যে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। কোরবানির উপযোগী করে উৎপাদন করা গরু আলাল সবচেয়ে বড় গরু বলে জানান খামারের মালিক নজরুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, সোনারগাঁ ডেইরি খামারের রয়েছে ফ্রিজিয়ান,শাহীওয়াল,গয়াল ক্রস, ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। এই খামারের ভুটানি প্রজাতির ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গরু। খৈল, ভুসি, খড় ও নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাসসহ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানো হয়েছে গরুগুলোকে। এখানে থাকা ফ্রিজিয়ান, ক্রস, শাহীওয়াল ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরুগুলো অর্ধেক আমার খামারে গাভীর বাছুর ও বাকি গুলো বিভিন্ন খামার ও গরুর হাট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

জানা গেছে, নজরুল ইসলাম তার নিজের দোকান সোনারগাঁ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৯ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে খামারটির যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়।

তিনি বলেন, পশুর খাবারের তালিকায় খৈল, ভুসি, খড়, সবুজ ঘাস, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার। প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ স্টেরয়েড ও ইনজেকশনমুক্ত বিশুদ্ধ গো-খাদ্যের মাধ্যমে বড় করে কোরবানির জন্য বিক্রয় করছেন বলে জানিয়েছেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ। বডি ওজন করেও বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানি হাটে আরেক আলোচনার নাম জায়েদ খান। সোনারগাঁয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের ভটেরকান্দি গ্রামে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু দুই বছর আগে কেনেন আব্দুর রউফ। ওই গরু খুব চঞ্চল ও অনেক লাফালাফি করে আর ডিগবাজি দিতে চায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে জায়েদ খানকে যেমনটা দেখা যায়। তাই এ অভিনেতার সঙ্গে এ গরুটির অনেকটা মিল থাকায় নাম রেখেছে জায়েদ খান। প্রায় ১ টন ওজনের বিশালদেহী জায়েদ খান নামে এই গরুটিকে এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।

গরুর মালিক আব্দুর রউফ বলেন, যেহেতু গরুটা খুব পাগলামি করে, লাফালাফি করে তাই গরুটির নাম দিয়েছি জায়েদ খান। মোবাইলে জায়েদ খানের ভিডিওতে দেখেছি জায়েদ খান খালি লাফ দেয়, বিভিন্ন স্থানে ডিগবাজি দেয়। এই গরুটাও লাফ দেয়, তাই গরুর নাম জায়েদ খান রাখা হয়। আব্দুর রউফ দুই বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি কেনেন। এরপর লালন পালন শুরু করেন। প্রতিদিন দেড় হাজার টাকার খাবার খাওয়া মস্ত বড় ষাঁড় গরুটি এখন প্রায় ১ টন ওজনের। এবাবের কোরবানি বিক্রি করব আশা করছি। জায়েদ খানের দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। যারা গরুটিকে দেখতে আসছেন তাদের কেউ কেউ বলছেন, আমরাও দেখলাম বিশাল এই গরু খুব পাগলামি করে। কোনো ভাবেই স্থির থাকে না, তাই এর নাম দেয়া হয়েছে জায়েদ খান।

দর্শনার্থী এনামুল, জাহিদ, রাবিকসহ কয়েকজন বলেন, জায়েদ খানকে কখনো সামনা সামনাসামনি দেখি নাই। শুনলাম গরুটির নাম জায়েদ খান রাখা হয়েছে। তাই এই গরুটিকে দেখতে আসছি। গরুটি আসলেই খুব সুন্দর।


৯ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৯টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এই প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্য জায়গায় মাঝারি অবস্থায় আছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে অধিদপ্তর জানায়, রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও বরগুনার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ১৮ ফেরি ও ২০ লঞ্চ 

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্নে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। এ ছাড়া পশুবোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার হবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

তিনি বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদ-পরবর্তী কাজে ফেরা যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে পাঁচ দিন পদ্মা নদীতে বালুবাহী ব্লাকহেড চলাচল বন্ধ থাকবে, ঈদের আগে ১৪ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত ৬ দিন দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, কাঁচামালবাহী ট্রাক পার হতে পারবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। ঈদের সময় লঞ্চে কোনো পণ্য পরিবহন করা যাবে না। দৌলতদিয়া ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। অস্থায়ী পাবলিক টয়লেট স্থাপন করতে হবে, মাতৃদুগ্ধের ব্যবস্থা থাকতে হবে। রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া টার্মিনালে যানবাহনের ভাড়ার চার্ট টাঙানোর পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদের কটি পরিহিত নিশ্চিতকরণ, টার্মিনালে যানবাহন প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এ ছাড়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে এবং চারটি ঘাট সচল থাকবে। পশুবোঝাই ট্রাকের ঘাটে গিয়ে যেন অপেক্ষা করতে না হয় সে বিষয়ে নজর রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘাটে চাঁদাবাজ, দালাল নির্মূলে ঘাট এলাকাসহ সড়কে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, ভোগান্তিবিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমে এসেছে। তারপরও কোরবানি ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপের পাশাপাশি এবার পশুবাহী ট্রাক নদী পারাপার হবে। ফলে গত ঈদুল ফিতরে যেমন ঘাট দিয়ে মানুষ সহজ ও নির্বিঘ্ন পারাপার হয়ে গন্তব্যে যেতে পেরেছে, এবারও ঈদুল আজহায়ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে। তারপরও সব বিষয়ে জেলা প্রশাসন সর্বক্ষণিক নজরদারি করবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিদ সরকার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই মো. ফরিদ উদ্দিনসহ হাইওয়ে পুলিশ, বাস মালিক সমিতি, ট্রাক মালিক সমিতির নেতারা।

বিষয়:

মোংলা বন্দরে নিলামে তোলা হচ্ছে ১০৭ বিলাসবহুল গাড়ি

আপডেটেড ৬ জুন, ২০২৪ ১৩:৩৮
বাগেরহাট প্রতিনিধি

জাপান থেকে মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি নামিদামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টম হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। যে কেউ ৫ জুন সকাল থেকে ৬ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ও বিড করতে পারবেন।

নিলামে ওঠা এসব গাড়ির মধ্যে নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েস, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি গাড়ি রয়েছে। গত সোমবার মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়। অনলাইনে প্রকাশ পাওয়া গাড়ি ছাড়াও কিছু গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পণ্যও নিলাম করা হবে।

মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি। এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি। গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে বিড করা যাবে। এ ছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।

মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী জানান, জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়। যা মোট আমদানিকৃত গাড়ির ৬০ ভাগ।


পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-পিউজে কমিটি গঠন

সোহেল বিল্লাহ্ কাজল সভাপতি-নুর উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের কর্মরত সংবাদকর্মীদের নিয়ে পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-পিউজে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পিরোজপুর শহরের নড়াইপাড়া এলাকায় পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-পিউজে এর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভার মাধ্যমে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে দৈনিক ইনকিলাব পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি আলহাজ্ব এস. এম. সোহেল বিল্লাহ্ কাজলকে সভাপতি এবং মোহনা টেলিভিশনের পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি মো: নুর উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে অন্যান্য পদের সদস্য হচ্ছেন সহ-সভাপতি গাজী এনামুল হক লিটন (দৈনিক জনতা), সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ (দৈনিক মানবকন্ঠ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু জাফর (দৈনিক বাংলা), কোষাধ্যক্ষ অমিত বিশ্বাস (দৈনিক সকালের সময়), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নকীব নাসরুল্লাহ (আনন্দ টিভি), ক্রীড়া সম্পাদক মো: শাহিন ফকির (ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস্) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শুভ অধিকারী (দৈনিক তথ্য দর্পন), জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাইনুল ইসলাম মামুন (দৈনিক ঢাকা), দপ্তর সম্পাদক মোঃ নাঈমুর রহমান অনিক (রাজধানী টিভি), নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবির তালুকদার (দৈনিক সবুজ বিপ্লব), নির্বাহী সদস্য সিরাজুল ইসলাম মিরাজ (ডেইলী মর্নিং গ্লোরি), নির্বাহী সদস্য জিয়াউল হক (দৈনিক ঘোষণা), নির্বাহী সদস্য এসএম নিয়াজ মোর্শেদ (দৈনিক মতবাদ)।

সভায় নতুন কমিটি সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহ ও তাদের পেশাগত কাজের মান উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার করেন।


শেষ হলো উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপ, চলছে ভোট গণনা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ ৬০টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে গণনা।

বরাবরের মতো শেষ ধাপের নির্বাচনেও সারা দেশে ছিল ভোটারদের খরা। প্রথম চার ঘণ্টায় ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে আজ দুপুরে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।

তিনি বলেন, ‘দেশের কোথাও কোনো বড় ধরনের অনিয়ম, গোলযোগের তথ্য পায়নি ইসির কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল। ভোটের সময় অনিয়মের চেষ্টা করায় চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে।’

আটক তিন যুবক হলেন, জাকির মুজাহিদ অয়ন (২২), হাসানুজ্জামান হাসান (২৪) ও মো. রাসেল (২৫)। বাঘা উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট দুই উপজেলায় বন্যা ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ চলেছে। সকাল থেকে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।

নওগাঁ সদর, মান্দা ও মহাদেবপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই কেন্দ্রগুলো ছিল প্রায় ভোটার শূন্য। শহরের সরিষাহাটের মোড়ে সরকারি বসির উদ্দিন মেমোরিয়াল কো-অপারেটিভ (বিএমসি) মহিলা কলেজ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় গেলে দেখা যায়, ওই কেন্দ্রের নারী ভোটারদের ১নং ভোটকক্ষের ব্যালট বক্সটি তখনও শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘ সময়েও ভোটার না আসায় কক্ষে বসে অলস সময় পার করছেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং এজেন্টরা।

এ ছাড়া ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাঁদপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামুলারকান্দি হাজী আব্দুল্লাহ একাডেমিতে একটি বুথে এক ঘণ্টায় পড়েছে মাত্র একটি ভোট। আরেকটি বুথে একই সময়ে দুটি ভোট পড়েছে। পাশাপাশি ওই কেন্দ্রসহ তিনটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে।

এ ছাড়া রংপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুরসহ অধিকাংশ জেলায় ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম।


চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭.৩১ শতাংশ: ইসি সচিব

নির্বাচন ভবনে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ও শেষ ধাপে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৬০ উপজেলায় ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল।

আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সচিব বলেন, ২৬ জেলায় ৬০ উপজেলায় সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের কোনো অনিয়ম, গোলযোগের তথ্য পায়নি ইসির কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল।

ভোটের সময় অনিয়মের চেষ্টা করায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ৩ জনকে জরিমানাও করা হয়েছে।

এদিকে, একযোগে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া আগের ধাপের ২০ উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ জুন।

নির্বাচন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬৭ হাজার ৭০৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাদের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি।

বিষয়:

চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় চলছে ভোট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটাভুটি চলবে বিকলে ৪টা পর্যন্ত।

এ ভোটে প্রতিনিধি বাছাইয়ে মত দেবেন এক কোটি ৪৩ লাখের বেশি ভোটার। ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হেয়েছে।

গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকাগুলোতে ট্যাক্সি, ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। মোটরসাইকেল চলাচলের ওপরও তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে চতুর্থ ধাপে ৬৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও মৃত্যু/মামলাজনিত কারণে ছয় উপজেলায় ভোট স্থগিত করে ইসি। ফলে এ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

এসব উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি নিয়েছে।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে উচ্চ পর্যায়ের একটি মনিটরিং সেল গঠন করে ইসি। এ সেলে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার প্রতিনিধিদেরও রাখা হয়েছে।

এ ধাপে সারা দেশে ৬০টি উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

দুর্গম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিবেচনায় ১৯৭ কেন্দ্রে মঙ্গলবারই ব্যালট পাঠানো হয়। বাকি চার হাজার ৯৪৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছায় বুধবার সকালে। সব মিলিয়ে এ দফায় ভোট কেন্দ্র পাঁচ হাজার ১৪৪টি।

নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য। সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে মোতায়েন আছে ১৯ জনের ফোর্স।

দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় এই সংখ্যা আরও বেশি। এ ছাড়া নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে আছেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসি সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। সোমবার থেকে প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।

এবার চার ধাপে উপজেলার ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলার ভোটগ্রহণ হয় ২১ মে।

তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয় ২৯ মে। চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোট হচ্ছে বুধবার।

আইনি জটিলতার কারণে কিছু উপজেলার ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।

বিষয়:

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ

মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ফাইল ছবি
আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ আজ বুধবার। এ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়েই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিতকৃত ২০ উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৬০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাতেই দুর্গম এলাকার ১৯৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠিয়েছে কমিশন। ভোটের দিন ভোরে বাকি কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।

চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এরই মধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট বিজিবি মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ১৯ হাজার ৪৭৮ জন, মোবাইল টিমে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬ হাজার ৩ জন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ২ হাজার ৬৭৩ জন। মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৪১ হাজার ৩৭৯ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট র‌্যাব মোতায়েন থাকবে ১৫৪টি টিম। ৬৭ হাজার ৭০৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারসহ ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের পরে তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণবিধি এবং আইনশৃঙ্গলা রক্ষায় প্রতি উপজেলার জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণের তিন দিন পূর্ব থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি তিনটি ইউনিয়নের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি উপজেলায় অতিরিক্ত ২৯ প্লাটুন বিজিবি, ১৪টিম র‌্যাব, ১২৮ জন আনসার ও ১৬ জন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।

নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে উচ্চ পর্যায়ের একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। এই সেলে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদেরও রাখা হয়েছে। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন বলে গতকাল নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সেলটির নেতৃত্বে দেবেন স্মার্টকার্ড তথা আইডিইএ-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, যা ৫ জুন অর্থাৎ ভোট গ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে নির্বাচন ভবন থেকে পরিচালিত হবে।

আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলটিতে জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা; পুলিশ হেডকোয়াটার্সের পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা; বিজিবি/কোস্টগার্ড/র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) আনসার ও ভিডিপির উপপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার/সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা থাকবেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, মনিটরিং সেল নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবে। সেই সঙ্গে সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা আইন-শৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে কমিশনকে জানাবে।

বিষয়:

অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে সিলেটের

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

এমন নয় যে, অতীতে সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি, মাঠ-ঘাট পানিতে ভরে যায়নি। তবে আগে বৃষ্টি হলেও পানি নেমে যেত দ্রুত, ফলে শহরে প্লাবন হতো না। আগের তুলনায় এখন শহরে বিশাল বিশাল দালান অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে, গত ১৪ বছরে শহরে বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের নামে প্রায় ১১শ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু সিলেটবাসী গত কয়েক বছরের মতো কখনও পাহাড়ি ঢল, কখনও ভারী বৃষ্টিতেই ডুবে যাচ্ছে। এ বছরও ডুবেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে কথাগুলো বলেন স্থানীয় বাসিন্দা আরমান হোসেন।

তার ক্ষোভের কারণ, সিলেট শহরজুড়ে গত ১৪ বছর ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ চলছে। বিপুল অর্থব্যয়ের পরও সেই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা কাজে লাগছে না। ভারী বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে এ শহর।

সিলেটে এ বছরের জলাবদ্ধতার চিত্র হচ্ছে, আগের সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর এটি স্থল নিম্নচাপ হয়ে সিলেট এলাকার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে ভারতের আসাম চলে যায়, তখন পুরো সিলেট অঞ্চল ও আসামজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। আসাম থেকে অপেক্ষাকৃত নিচু সিলেট ও আশপাশের জেলাগুলোতে সেই ঢলের পানি নেমে আসে। ফলে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জের হাওর ও অন্য নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে যায়। সেই পানি পড়ে সরে আসে আরও উজানে সিলেট শহরে। প্লাবিত হয় সিলেট শহর। তবে এই জলাবদ্ধতা কাটার আগেই গত রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা ২৪ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে পুরোপুরি ডুবে যায় সিলেট মহানগর। বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের শতাধিক এলাকা। পানি ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে। এমনকি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও পানি ঢুকে পড়ে।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৪ বছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকার কাজ করেছে সিটি করপোরেশন। এর বাইরে চলতি বছর তিনটি ড্রেন নির্মাণে খরচ হয় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি আরও ৫৫ কোটি টাকার কাজ চলছে। সম্প্রতি ৩০০ কোটি টাকার আরও কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন হয়।

এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা নদীর নগর অংশ খননে গত দেড় বছরে খরচ করছে ৫৫ কোটি টাকা।

এত টাকা ব্যয় করার পরও কেন ভারী বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাচ্ছে সিলেট নগর- এমন প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা আর পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ভূমিসন্তান বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক আশরাফুল কবির এ জন্য দায়ী করছেন অপরিকল্পিত উন্নয়নকে। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক কাজ করা হয়েছে। বছরের পর বছর নগরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। কিন্তু এসব হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। নগরের ছড়া খাল ও দিঘি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। বড় বড় ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির পানি সড়ক থেকে ড্রেনে নামার মতো যথেষ্ট জায়গা নেই। পানি নামার জন্য ড্রেনে কিছু গর্ত রাখা হলেও তা ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত নামতে পারছে না।

সিলেট সিটি করপোরেশন বলছে, সুরমা নদী পানিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নগরের বৃষ্টির পানি নামতে পারেনি। এ কারণে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নগরী।

তবে তা মানতে নারাজ নগরের বাসিন্দারা। নগরের শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা রিপন চৌধুরী বলেন, রোববার ও সোমবার সিলেটে যে পানি হয়েছে এটা বন্যা নয়, এটা জলাবদ্ধতা।

তিনি বলেন, নদী ভরাট হওয়ার কারণে পানি জমলে সকালের পানি দুপুরে কমে যায় কী করে। এই নদী দিয়েই তো পানি নেমেছে। আসলে ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়া, সড়কের পানি নামার রাস্তা না থাকার কারণে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সিলেট নগর ঘুরে দেখা যায়, নগরের উপশহর, তেরররন, যতরপুর, মেন্দিবাগ, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, কলাপাড়া মজুমদার পাড়া লালদীঘির পাড়, সোবহানী ঘাট, মির্জাজাঙ্গাল, কদমতলী, কালিঘাট, শেখঘাটসহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে মঙ্গলবার বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে যায়। যদিও উপশহর, তেররতন, তালতলাসহ কিছু এলাকায় এখনো পানি রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি ছড়া প্রবাহমান। এসব ছড়ার ১৬টি শাখা ছড়াও আছে। এসব ছড়া-খাল সুরমা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ছড়া-খালগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার। এর বাইরে নালা-নর্দমা আছে ৯৭০ কিলোমিটার। নালা-নর্দমায় প্রায় সাড়ে ৬শ কিলোমিটার পাকা ড্রেন আছে।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা জানিয়েছে, ২০০৯ সালের পর থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ছড়া খনন, ছড়ার পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ, ইউটাইপ ড্রেন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, নালা-নর্দমা প্রশস্তকরণসহ জলাবদ্ধতা নিরসন-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সিটি করপোরেশন। চলতি বছর একই খাতে সাড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার কাজ চলছে।

এর বাইরে নগরে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৫টি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩০০ কোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্প সম্প্রতি অনুমোদন হয়। টাকা বরাদ্দ পেলেই এ কাজ দ্রুততার সঙ্গে শুরু হবে।

এসব প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহুমদ চৌধুরী বলেন, সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরবাসীকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো। সরকার বরাদ্দ দিলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন যথাযথভাবে হয়নি। এসব টাকায় কী কী কাজ হয়েছে তা নগরবাসীর কাছে প্রকাশ করা দরকার।

তবে বাস্তবায়িত প্রকল্পের অনেক সুফল মিলছে দাবি করে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, এখন আর আগের মতো জলাবদ্ধতা হয় না। তাছাড়া পানি জমলেও বৃষ্টি থামলে তা দ্রুত নেমে যায়।

রবি ও সোমবারের জলাবদ্ধতাকে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি হয়েছে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে। বন্যায় সবগুলো ড্রেন ও ছড়া আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। নদীও পানিতে টুইটুম্বুর। তাই বৃষ্টির পানি জমে গেছে। আমরা ড্রেন ও ছড়া পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছি। এক্ষেত্রে নগরব্সাীকেও সচেতন হতে হবে। ময়লা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে, ড্রেনে কিছুতেই ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে সুরমা নদী খনন ও শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। এ নিয়ে সিটি করপোরেশন কাজ করছে।

বিষয়:

বস্তায় মিলল শিশুর খণ্ডিত মাংস-হাড়গোড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)

ধানখেতে পড়ে ছিল একটি প্লাস্টিকের বস্তা। সেই বস্তাটি কিছু কুকুর দলবেঁধে টানাটানি করছিল। তাদের টানাটানিতে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধ আর বস্তা থেকে বের হয়ে আসে কিছু খণ্ডিত মাংস ও হাড়গোড়। স্থানীয়রা ভালোভাবে তাকিয়ে বুঝতে পারেন এগুলো কোনো মানবদেহের পচে যাওয়া টুকরো টুকরো মাংস এবং হাড়ের খণ্ড খণ্ড অংশ। বস্তাটি টানাটানি দেখে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক উৎসুক জনতার ভিড় লেগে যায়। কুকুর তাড়িয়ে পুলিশে খবর দেন স্থাীয়রা। পুলিশ এসে উদ্ধার করার পর জানা যায়, এটি ছিল বস্তাবন্দি কোনো এক শিশুর মরদেহ- যাকে হত্যার পর দেহ করা হয়েছে টুকরো টুকরো। কদিন আগে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ খুনিরা গুম করার উদ্দেশ্যে খণ্ড-বিখণ্ড করার খবরে দেশবাসী এখনও আঁতকে ওঠে, এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড যেন তারই কার্বন কপি।

গতকাল সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার হয় ওই বস্তাবন্দি মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলের পুরো অংশ ঘিরে রেখে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা হাড় ও দেহের কিছু অংশ সংগ্রহ করে পুলিশ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মাংসের টুকরো। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল চারদিকে।

ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই মো. সুমন মিয়ার বাড়ি। জানা গেছে, সুমন মিয়ার ১০ বছরের মেয়ে তাদেরই বাড়ির সামনে থেকে ৯ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছে। শিশুটির নাম নওশীন ইসলাম শর্মিলা। গত ২৬ মে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, মরদেহটি হতে পারে কোনো এক শিশুর। কেউ শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ওই ধানখেতে ফেলে দিয়েছে তবে মাথার খুলি মিললেও মরদেহের আংশিক উদ্ধার হয়েছে।

শিশু শর্মিলা বেঁচে আচে কি না- এ বিষয়ে এখনও নিঃসন্দেহ নয় তার পরিবার। এটি তার মরদেহ কি না সে বিষয়ে স্থানীয়দের নানা ধারণা থাকলেও পরিবার ও পুলিশ কোনো মন্তব্য করেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এর পরই এর রহস্য উদঘাটন হবে।

স্থানীয়দের ধারণা, দুর্বৃত্তরা হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য হয়তো বস্তাবন্দি করেছিল। এটা শর্মিলার মাথার খুলি কি-না সন্দেহ রয়েছে। তবে তারা পুলিশকে গভীর তদন্তের অনুরোধ জানান।

শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া জানান, গতকাল সোমবার সকালে বাড়ির পাশের ধানখেতে কিছু কুকুর একটি বস্তা টানাটানি করে। সেখানে মাথার খুলিসহ দেহ কেটে টুকরা করা কিছু খণ্ড পাওয়া যায়। প্রচুর দুর্গন্ধ হচ্ছিল। লাশ দেখে চেনার কোনো উপায় নেই কার লাশ। এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও নিশ্চিত না। তবে, তার পরনের লাল পাজামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটিই শর্মিলার মরদেহ হতে পারে।

শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া বলেন, গত ২৬ মে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শর্মিলা। পরে আর খোঁজ পাইনি তার। থানায় জিডিও করা হয়। আজ (গতকাল) যেখানে খুলি পাওয়া গেছে, ওই জায়গা দিয়ে কয়েকবার খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। আজ সকালে কুকুর মাথার খুলি টানাটানি করছিল। পরে লোকজনের খবর শুনে এখানে আসি। বস্তা থেকে যে জামা পাওয়া গেছে, নিখোঁজের সময় সেটি তার মেয়ের পরনে ছিল।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করেছে।

তিনি বলেন, উদ্ধার করা মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে খুলিটি নিখোঁজ শিশু শর্মিলার কি না।

টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, দ্রুতই এ হত্যা-রহস্য উদঘাটন করা হবে।


চতুর্থ ধাপে উপজেলা নির্বাচন কাল

দেশের ৫৮ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ০০:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ বা শেষ ধাপে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামীকাল বুধবার (৫ জুন)। এই ধাপে দেশের ৫৮ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে দেশের ওই ৫৮টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামঙ দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনসের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ৫৮টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ৫ জুন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

এই ধাপে রংপুর বিভাগের দুটি, রাজশাহী বিভাগের চারটি, খুলনা বিভাগে একটি, বরিশাল বিভাগে চারটি, ঢাকা বিভাগের তিনটি, ময়মনসিংহ বিভাগে তিনটি, সিলেট বিভাগের তিনটি ও চট্টগ্রাম বিভাগের চারটি জেলার উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইতোমধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (৫ জুন) চতুর্থ ও শেষ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০ উপজেলার ভোট আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে উল্লিখিত ৫৮টি উপজেলায় গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী গতকাল সোমবার মধ্যরাত ১২টা থেকে হয়ে গেছে মোটরসাইকেল চলাচল। এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে আগামী ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনকে ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৩২ ধারা অনুযায়ী অনুষ্ঠেয় নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৪ জুন মধ্যরাত ১২টা থেকে ৫ জুন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।

নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও যেকোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তা ছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

এ ছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ রূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।

অন্যদিকে এ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ভোট গ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে কতিপয় নৌ-যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ক্ষমতা জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ব্যবসা কেন্দ্র, শাখা ও বুথ বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গত ২৮ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তৎপর থাকবে বলে জানা যায়। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। থাকবে পুলিশ সদস্য, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার, দফাদার। র‌্যাবের বিশেষ টহল থাকবে বলেও জানা গেছে।


banner close